বিশ্বকাপে সবচেয়ে ব্যায়বহুল দল ফ্রান্স!

বিশ্বকাপের বাঁশি বাজতে বাকি আর মাত্র দুই দিন। সেই উপলক্ষ্যে রাশিয়ায় বসেছে তারার মেলা। বিশ্বের নামী-দামি ফুটবলারে মুখরিত দেশটির ১১টি শহর। চলছে বিশ্বকাপে অংশগ্রহণকারী দলগুলো নিয়ে চুলচেরা বিশ্লেষণ। সেরকমই একটি বিশ্লেষণে উঠে এসেছে—এবারের বিশ্বকাপে সবচেয়ে দামি দল ফ্রান্স। ক্লাব ফুটবলে খেলোয়াড়দের বাজারমূল্য বিশ্লেষণ করে এ তথ্য জানিয়েছে সুইজারল্যান্ডের গবেষণা প্রতিষ্ঠান ‘ফুটবল অবজারভেটরি অব দ্য ইন্টারন্যাশনাল সেন্টার ফর দ্য স্টাডি অব স্পোর্ট’ (সিআইইএস)। সংস্থাটি জানিয়েছে ফরাসি স্কোয়াডের ২৩ সদস্যের মোট বাজারমূল্য ১,৪১০.৩ মিলিয়ন ইউরো। আর ৩২টি দলের সব খেলোয়াড়ের মোট বাজারমূল্য ১২.৬ বিলিয়ন ইউরো।

ফ্রান্সের পরই আছে ইংল্যান্ড। হ্যারি কেনদের বাজারমূল্য ১,৩৯০ মিলিয়ন ইউরো। দামি দলের তালিকায় ৩ নম্বরে আছে ৫ বারের বিশ্বচ্যাম্পিয়ন ব্রাজিল। ব্রাজিলিয়ান স্কোয়াডটির বাজারমূল্য ১,২৭০ মিলিয়ন ইউরো। চতুর্থ দামি দল নিয়ে বিশ্বকাপে অংশ নিচ্ছে ২০১০ সালের চ্যাম্পিয়ন স্পেন। দলটির বাজারমূল্য ৯৬৫ মিলিয়ন ইউরো। তালিকার ৫ নম্বরে আছে আর্জেন্টিনা। লিওনেল মেসিদের মোট বাজারমূল্য ৯২৫ মিলিয়ন ইউরো।

এ তালিকায় শেষের দিকে আছে কোস্টা রিকা, ইরান, সৌদি আরব ও পানামা। অন্যদিকে মধ্য আমেরিকার দলগুলোর খেলোয়াড়দের মোট বাজারমূল্য ১৫ মিলিয়ন ইউরো।
গবেষণায় স্কোয়াডের সবচেয়ে দামি খেলোয়াড়ের তথ্যও উঠে এসেছে। ফরাসি দলের সবচেয়ে দামী খেলোয়াড় পিএসজির তারকা কিলিয়ান এমবাপে। ১৯ বছর বয়সী এই তারকার বাজার ১৮৭ মিলিয়ন ইউরো। যা দলের মোট মূল্যের ১৩ শতাংশ। ২৪ বছর বয়সী ইংলিশ অধিনায়ক তার দলের সবচেয়ে দামি খেলোয়াড়। তার বাজারমূল্য ২০১ মিলিয়ন ইউরো, যা দলের ১৫ শতাংশ। ব্রাজিল দলের সবচেয়ে দামি খেলোয়াড় নেইমার। বিশ্বের সবচেয়ে দামি এই ফুটবলারের বাজারমূল্য ১৯৬ মিলিয়ন ইউরো, যা দলের ১৫ শতাংশ। স্পেনের দামি খেলোয়াড় সুল নিগাজ। আথলেতিকো মাদ্রিদের এই তারকার বাজারমূল্য ১০১ মিলিয়ন ইউরো, যা দলের ১০ শতাংশ।

আর্জেন্টিনার দামি খেলোয়াড় মেসি। তার বাজারমূল্য ১৮৪ মিলিয়া ইউরো, যা দলের ২০ শতাংশ। এদিকে ১০৩ মিলিয়ন ইউরোর বাজারমূল্য নিয়ে পর্তুগাল দলের দামি খেলোয়াড় ক্রিস্তিয়ানো রোনালদো। যা দলের মোট মূল্যের ১০ শতাংশ। তবে দলের দামি খেলোয়াড়ের শীর্ষে আছেন মিসরীয় সুপারস্টার মোহাম্মদ সালাহ। লিভারপুলের এই তারকার বাজারমূল্য ১৭১ মিলিয়ন ইউরো। যা মিসর স্কোয়াডের মোট বাজারমূল্যের ৭৪ শতাংশ।